Tuesday, November 23, 2010

Beauty solution for winter

ভোরের হাওয়ায় বেশ একটা ঠান্ডা আমেজ; সকালের ঘুমচোখে হাতড়ে ফেরা কাঁথার ওমে আরও কিছুক্ষণ গুটিসুটি মেরে থাকার অদম্য লোভ; মন কেমন করা ছায়ামাখা পড়তি বেলা খানিক না গড়াতেই তড়িঘড়ি দিন ফুরিয়ে সন্ধ্যা; শেষ বিকেলের শিরশিরে হাওয়ায় পাতাদের তিরতির কাঁপনে যেন খসে পড়ার প্রস্তুতি-বার্তা—সবকিছুতে শীত জানিয়ে দিচ্ছে, সে আসছে। প্রকৃতিতে তো বটেই, শীতকাল তার শুষ্কতার ছাপ ফেলে শরীরের ওপরও। লাবণ্য হারিয়ে ত্বকের টানটান ভাব, ঠোঁটফাটা, চুল খড়খড়ে হয়ে যাওয়া, পায়ের পাতায় ফাটল—এসব যেমন নিজের জন্য সারাক্ষণ ভীষণ অস্বস্তিকর, তেমনি দৃষ্টিকটু অন্যের কাছে। তবে রুক্ষতা-শুষ্কতার তাবৎ সমস্যা দূর করে পুরো শীতকালই আপাদমস্তক কোমল পেলব থাকতে পারেন অনায়াসে। চাই শুধু শীত জেঁকে বসার আগে থেকেই একটু সচেতনতা। এ জন্য কী করবেন, কী করবেন না এবং কেমন যত্ন-আত্তি দরকার, দেখে নিন একনজরে।


মডেল: মিম


ত্বকের যত্ন
বিউটি স্যালন রেডের কর্ণধার আফরোজা কামাল বলেন, ‘এখন থেকেই বাতাসের আর্দ্রতা কমতে থাকে। ফলে ত্বক ধীরে ধীরে শুকনো হয়ে যেতে থাকে। এভাবেই একসময় ত্বক ফেটে যায়। এ সমস্যা এড়াতে এখন থেকেই পরিচর্যাটা ভীষণ জরুরি।’
পুরো শীত যাতে নিয়মমাফিক পরিচর্যায় থাকতে পারেন সুন্দর তার কিছু পরামর্শ দিলেন আফরোজা কামাল।
সবচেয়ে জরুরি হলো ত্বকের ধরন বুঝে যত্ন নেওয়া। শুষ্ক ত্বকের জন্য যেকোনো প্রসাধন তেলভিত্তিক আর তৈলাক্ত ত্বকের জন্য তেলবিহীন বা পানিভিত্তিক হওয়া প্রয়োজন। যাঁদের শুষ্ক ত্বক তাঁরা অবশ্যই নিয়মিত লোশন বা ময়েশ্চারাইজার লাগান গোসলের পরপরই, ত্বক একটু ভেজা থাকতেই। ভিটামিন-ই এবং অ্যাভোকাডো সমৃদ্ধ লোশন শুষ্কতা রোধে সব ধরনের ত্বকের জন্যই উপকারী।
শীতে ধুলো ওড়ে বেশি। ত্বকের ধুলো-ময়লা পরিষ্কার করতে পুরো শীতকাল টোনার ব্যবহার করা দরকার। বাইরে যাওয়ার আগে ও ফিরে এসে তুলোয় টোনার লাগিয়ে ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। তৈলাক্ত ও মিশ্র ত্বকের জন্য শশার রস ভালো প্রাকৃতিক টোনার। শশার রস ফ্রিজে কিউব করে জমিয়ে রাখতে পারেন। আর ব্রণযুক্ত ও তৈলাক্ত ত্বকে খুব উপকারী হলো বরফ। ত্বকের উপযোগী একটা ক্লিনজার দিয়ে মুখ ভালো করে ম্যাসাজ করে ধুয়ে টোনার লাগাবেন। এরপর লাগান ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার। বাইরে থাকা অবস্থায় মুখ সারা দিনে বার-চারেক পানির ঝাপটা দিয়ে পরিষ্কার করুন। তবে শীতে এ ক্ষেত্রে প্রত্যেকবার সাবান বা ফেসওয়াশ ব্যবহার না করলেও হবে।
ঠোঁটফাটা রোধে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহারে অনেকের ঠোঁট কালো হওয়া শুরু করতে পারে। তার বদলে লিপবাম ব্যবহার করতে পারেন। হাত-পা-ঠোঁট ফাটা রোধে বেশ কার্যকর গ্লিসারিন। এটি সব সময় পানির সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে। সঙ্গে সব সময় একটা লিপবাম, ক্রিম, ময়েশ্চারাইজার, ফেসওয়াশ রাখার অভ্যাস করুন।
শীতের রোদে অতিবেগুনি রশ্ম্নি বেশি থাকে যা ত্বকের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। তাই রোদ থেকে বাঁচতে বাইরে যাওয়ার আগে টোনার দিয়ে সানব্লক লোশন অবশ্যই লাগিয়ে নেবেন।
শীতকালটা কিন্তু নিশ্চিন্তে মেকআপ করে থাকার জন্য বেশ ভালো সময়। গরমে খানিক পরই মেকআপ ছড়িয়ে পড়তে পারে। কিন্তু শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় দীর্ঘসময় ঠিকঠাক থাকে। তবে বাদ দিন ম্যাট ধরনের লিপস্টিক যাতে ঠোঁট শুকিয়ে টান না ধরতে পারে। হালকা মেকআপের জন্য টোনারের পর ময়েশ্চারাইজার দিয়ে অল্প ফাউন্ডেশন লাগান, তারপর ফেসপাউডার দিয়ে নিন। শীতে প্রকৃতি কেমন ফিকে, বিবর্ণ হয়ে থাকে, তাই এ সময় বেশ উজ্জ্বল আর গাঢ় রঙের আইশ্যাডো, লিপস্টিক ভালো লাগে দেখতে। লিপবাম, ময়েশ্চারাইজার ইত্যাদি সব প্রসাধন রোদ-প্রতিরোধক বা এসপিএফযুক্ত (সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর) হলে ভালো হয়।
গোড়ালি ফাটা রোধে, পা নরম রাখতে রাতে পায়ে পেট্রোলিয়াম জেলি মালিশ করে উলের মোজা পরে ঘুমান। ত্বকের মসৃণতা ধরে রাখতে সপ্তাহে একদিন প্যাক ব্যবহার করুন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কমলা, আপেল, ডিমের সাদা অংশের মিশেলে প্যাক বানাতে পারেন। তবে তৈলাক্ত ত্বকের যেকোনো প্যাকে পেঁপে আর কলা বাদ দিতে হবে। শুষ্ক ত্বকের জন্য ডিমের সঙ্গে আপেল, কলা, পেঁপে দিয়ে প্যাক বানানো যাবে। যাদের ত্বকে ব্রণ রয়েছে তারা জোজোবা সমৃদ্ধ স্ক্রাব (বাজারে পাবেন), টক দই, ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে মুখে লাগান। পুরোপুরি শুকানোর আগেই মুখের নিচ থেকে ওপর দিকে খানিকক্ষণ মালিশ করে ধুয়ে ফেলুন। রোদে পোড়া দাগ তুলতে স্ট্রবেরি (সুপারশপে পাবেন) ও টক দই খুব কাজে দেয়। স্ট্রবেরি পেস্ট করে তাতে টক দই ও মধু মিশিয়ে রোদে পোড়া ত্বকে লাগান। ডাবের পানিও ত্বক নরম এবং দাগ হালকা করে। শীতকালে ফেসিয়ালও কিন্তু ভিন্ন রকম হবে। শীতে সব ত্বকের উপযোগী ভেজিটেবল ও ফ্রুট ফেসিয়াল। অ্যালোভেরা, গ্লো-শাইন-জাতীয় ফেসিয়ালও করতে পারেন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে।
শীতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখাটা খুব প্রয়োজন। হারবাল সলিউশনস ডে স্পা অ্যান্ড বিউটি স্টুডিওর কর্ণধার সুলতানা পারভিন হক বলেন, ‘শীতে যদি ত্বকের সঠিক যত্ন না নেওয়া হয় তাহলে ত্বক কুঁচকে যেতে পারে, ভাঁজ পড়তে পারে, যা ত্বকে বয়সের ছাপ এনে দেয় দ্রুত।’ হাতের কাছেই থাকে এমন কিছুর ব্যবহারে খুব সহজে ত্বকের যত্নের উপায় বাতলে দিলেন তিনি—
আর্দ্রতা ধরে রাখতে ওয়াটারথেরাপি খুব কার্যকর শীতে। এ জন্য ঠান্ডা-গরম মিশিয়ে পানি স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এনে এই পানি দিয়ে মিনিট পাঁচেক মুখে স্রেফ ঝাপটা দিন সকালে উঠে। শীতে গরম পানি ব্যবহার না করে উপায় থাকে না। তবে খুব ঠান্ডা বা গরম পানি কোনোটাই ত্বকের জন্য ভালো নয়। কখনো যদি বেশি গরম পানি নিতেই হয় তবে গোসলের একদম শেষে একবার স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ঢালুন গায়ে। আর মুখে গরম পানি ব্যবহার করলে শেষে একটু ঠান্ডা পানি বা পরে হালকা করে বরফ বুলিয়ে নিন। ত্বকের বার্ধক্য রোধে চল্লিশ ও চল্লিশোর্ধ নারীদের বডিলোশন নিয়মিত ব্যবহার করা খুবই প্রয়োজন।
পানির ঝাপটা দেওয়ার পর স্ক্রাবিং করতে পারেন দুই-তিন দিন পরপর। চাল, ডাল আর গম গুঁড়া করে মিশিয়ে একটা কৌটায় রেখে দিন। দাগের সমস্যা থাকলে সঙ্গে হলুদগুঁড়া মেশাতে পারেন। এতে পানি দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে স্ক্রাব বানিয়ে তা দিয়ে মুখ ভালো করে কিছুক্ষণ ঘষে ধুয়ে ফেলুন। তাতে শুকনো মরা চামড়া উঠে আসবে। এই স্ক্রাবটি সব ধরনের ত্বকের উপযুক্ত। তবে ব্রণ থাকলে, কলের নয়, খাওয়ার ফুটানো পানি দিয়ে প্যাক বানান ও ফুটানো পানি দিয়েই মুখ ধুয়ে নিন। স্ক্রাবিংয়ের পর ময়েশ্চারাইজার বা কোল্ড ক্রিম দিয়ে নিন।
নিমপাতা জ্বাল দিয়ে পাতাসহ পানি সারা রাত রেখে পানিটা একটা পরিষ্কার বোতলে ভরে রাখুন। চাল, ডাল, গমের গুঁড়ার মিশ্রণটির সঙ্গে এই পানিটা মিশিয়ে স্ক্রাব বানিয়ে পায়ের যত্নেও ব্যবহার করতে পারেন। কুসুমগরম পানিতে প্রথমে পা খানিক ভিজিয়ে রেখে পিউমিস স্টোন (বাজারে পাবেন) দিয়ে ঘষে নরম করে নিন। এরপর স্ক্রাবটি দিয়ে পা ঘষুন। তারপর পরিষ্কার পানিতে লেবুর রস দিয়ে তাতে পা খানিকক্ষণ রাখুন। এরপর পা না ধুয়েও লোশন লাগাতে পারেন।
যারা অনেকক্ষণ রান্নার কাজে আগুনের আঁচে থাকেন বা রোদে থাকেন তাঁদের জন্য অবশ্যই সানস্ক্রিন খুব দরকার। সাধারণ ব্যবহারের জন্য সানস্ক্রিনের এসপিএফ হবে অন্তত ১৫।
রোদে পোড়া দাগ দূর করতে পাকা টমেটোর রস খুব কার্যকর। কমলার রস, ডিমের কুসুম, মধুর প্যাক রোদে পোড়া ত্বকে লাগাতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বকের প্যাকে ডিমের সাদা অংশটা দিন। পুরোটা শুকালে ভেজা আঙুলের ডগা দিয়ে আস্তে আস্তে নিচ থেকে ওপর দিকে আলতো ঘষে নরম করে নিয়ে পরে ভেজা তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন। কমলার খোসা বাটাও ত্বকে পুষ্টি জোগায় এবং দাগ হালকা করতে সাহায্য করে।
ব্রণের প্রকোপ কমাতে পুদিনাপাতা বেটে ব্রণের ওপর খানিকক্ষণ লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন।
ঠোঁট আর চোখের চারপাশের ত্বক খুব সংবেদনশীল। এতে স্ক্রাবিং করবেন না। ঠোঁটের যত্নে অনেক দিনের পুরোনো মধু ঠোঁটে দিয়ে খানিকক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেললে ঠোঁট নরম থাকবে। জিভ দিয়ে বারবার ঠোঁট ভেজালে ঠোঁট বেশি শুষ্ক হয়ে যায়।
শীতে নিয়মিত মধু খান। এটি ত্বকে ভাঁজ পড়া কমায়। মধু ও পানি মাস্ক হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন ত্বকে।
মেকআপ মুছতে মেকআপ-রিমুভার, আর না থাকলে কোল্ড ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে। গ্লিসারিন ও ডিসটিলড ওয়াটার (ফার্মেসিতে পাওয়া যাবে) ১ ঃ ২ অনুপাতে মিশিয়ে বোতলে রেখে সেটা মেকআপ-রিমুভার হিসেবে শীতে ব্যবহার করতে পারেন। ডিসটিলড ওয়াটার কাছে না থাকলে গোলাপজল দিতে পারেন তার বদলে।
শীতে উলের গরম কাপড় পরা হয় বলে ত্বক কিছুটা খসখসে হয়ে যেতে পারে। তাই নিচে যে কাপড় পরবেন তা সুতি হলেই ভালো হয় যা ত্বকের জন্য স্বাস্থ্যকর।
ভিটামিন ‘বি’র স্বল্পতা হলে অনেক সময় ত্বকে খড়ি ওঠে। সে ক্ষেত্রে ভিটামিন ক্যাপসুল খেতে পারেন বিশেষজ্ঞের পরামর্শে।

চুলের যত্ন
শীতে ত্বকের সঙ্গে চুলও প্রাণহীন হয়ে পড়ে। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন তেল ম্যাসাজ খুব জরুরি—জানান হারমনি স্পার কর্ণধার রাহিমা সুলতানা। নারকেল তেল অথবা তিলের তেল হালকা গরম করে চুলের গোড়ায় লাগান। এই দুই রকম তেল একসঙ্গে ব্যবহার করলে ১ ঃ ১ অনুপাতে মেশাতে হবে। এতে সমপরিমাণ আমলকীর রস দিতে পারলে আরও ভালো হয়। তেল ম্যাসাজের আধঘণ্টা পর গরম পানিতে ভেজানো তোয়ালে মাথায় পেঁচিয়ে রাখুন মিনিট দশেক। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। শ্যাম্পুর আগে প্যাক ব্যবহার করতে পারেন চুলে সপ্তাহে এক কি দুইবার।
টক দই, ডিম, আমলকী বাটা, মেথি, অ্যালোভেরা (ঘৃতকুমারী নামে বাজারে পাবেন) দিয়ে প্যাক তৈরি করে চুলে আধঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করুন। এটা সব ধরনের চুলের জন্য মানানসই।
চুল পড়া কমাতে ও নতুন চুল গজাতে মেথি, আমলা, হরীতকী, বহেরা, ডিম, টক দইয়ের প্যাক খুব কার্যকর। আমলা, হরীতকী ও বহেরা একসঙ্গে ত্রিফলা হিসেবে পাওয়া যায় বাজারে।
মেথি ভেজানো পানি ও চায়ের পাতা ফোটানো পানি অর্থাৎ চায়ের লিকার শীতে খসখসে হয়ে যাওয়া চুলে চমৎকার জেল্লা আনতে সাহায্য করে।
রাহিমা সুলতানা বলেন, অন্তত একটি আমলকী খাওয়ার চেষ্টা করুন প্রতিদিন। শীতের ফল, সবজি এগুলো নিয়মিত খেতে হবে। ভেতরকার স্বাস্থ্য ঠিক থাকলে চুলও বাইরে থেকে সুন্দর দেখাবে।
শীতে ধুলোর কারণে চুল খুব ময়লা হয় আর তা থেকে খুশকির প্রকোপসহ অন্যান্য সমস্যাও বেশি দেখা যায়। তাই রেডের রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা কামাল মনে করেন, শীতে প্রতিদিনই শ্যাম্পু করতে হবে চুলটাকে পরিষ্কার রাখার জন্য। তাঁর পরামর্শ—
শুষ্ক চুলে পুষ্টি জোগাতে পেঁপে, কলা, টক দইয়ের প্যাক লাগাতে পারেন।
চুল বেশি রুক্ষ হলে সমপরিমাণ অ্যাভোকাডো, টক দই, মেয়োনেজের সঙ্গে এক চা-চামচ করে মধু ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে লাগাতে পারেন চুলে। অ্যাভোকাডো ফলটি সুপারশপগুলোয় পাবেন।
খুশকি থাকলে লেবুর রস, টক দই মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগান। পরে শ্যাম্পু করে ফেলুন। খেয়াল রাখবেন, শ্যাম্পু ভালো করে প্রচুর পানি দিয়ে ধুতে হবে। না হলে খুশকি পুরোপুরি উপশম হয় না এবং ফিরে আসার আশঙ্কা থেকে যায়।
পুরো শীতে নিয়ম করে এটুকু পরিচর্যা যদি করতে পারেন তবে চিন্তা কি? শুরু করুন আজ থেকেই আর শীতকে জানিয়ে দিন, আপনিও তৈরি।

No comments:

Post a Comment