ভ্রু প্লাকের ওপরই চেহারার ভাব পরিবর্তন হয়ে যায়। হয়তো কখনো রাগী লাগে, কখনো বা লাগে বেশি কমনীয়। আবার নির্দিষ্ট মাপ মেনে ভ্রু প্লাক করার পরামর্শ দেন তিনি। নাকের কাছ থেকে ভ্রুর শুরু এবং একদম শেষ প্রান্ত—এই দুটো জায়গায় ভ্রু একই রকম পুরু হবে। আর মাঝের অংশ হবে তুলনামূলক বেশি পুরু। এতে দেখতে বেশ ভালো লাগে। তবে বেশি মোটা হলে তা কিন্তু মুখের সঙ্গে মানাবে না। মুখের আকার বুঝেও ভ্রু প্লাক করতে হবে। যাঁদের মুখ অপেক্ষাকৃত গোল বা কিছুটা চওড়া, তাঁদের ভ্রু হবে ভি আকারের। আবার যাঁদের মুখের আকৃতি কিছুটা লম্বাটে, তাঁদের ভ্রু হবে ইউ অক্ষরের মতো।
এখানেই শেষ নয়, চোখের আকার বুঝেও ভ্রু প্লাক করা উচিত। যাঁদের চোখ অপেক্ষাকৃত ছোট, তাঁদের ভ্রু চিকন করে তোলা উচিত। আবার যাঁদের চোখের আকার কিছুটা বড় এবং টানা, তাঁদের ভ্রু প্লাক করতে হবে মোটা করে। তবে এই মোটা ভাব যেন মুখের সঙ্গে মানিয়ে যায়। কোনো অনুষ্ঠান সামনে রেখে ভ্রু প্লাক করলে অবশ্যই অনুষ্ঠানে যাওয়ার দুই থেকে তিন দিন আগে ভ্রু প্লাক করা উচিত। কেননা অনেকের অ্যালার্জির সমস্যা থাকে। ভ্রু প্লাক করার পরই অ্যালার্জি বেড়ে যায়। তাই দুই দিন আগে করলে অ্যালার্জির সমস্যা খানিকটা কমে যায়। ভ্রু প্লাকের সময় অনেকে পাউডার ব্যবহার করেন। এটি যেন নামী ব্র্যান্ডের হয়। যে সুতা দিয়ে ভ্রু প্লাক করা হচ্ছে, ওই সুতা কিছুক্ষণ স্যাভলন বা ডেটল মেশানো পানিতে ভিজিয়ে রাখলে ভালো হয়। ভ্রু প্লাকের পর বরফ দিয়ে হালকা করে ঘষে নিলে ফোলা ভাবটা কেটে যায়। এরপর হালকা কোনো ক্রিম দিয়ে মালিশ করলে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়।
No comments:
Post a Comment