দর্জিবাড়ি তাড়াতাড়ি
ঈদ আসতে এখনও অনেক দিন বাকি। ঈদের দিন গোনা সাধারণত রোজার শুরু থেকেই হয়। ঈদের জন্য পছন্দ অনুযায়ী পোশাক বানিয়ে নিতে এখনই সবাই ছুটছে দর্জিবাড়ি। দর্জিবাড়িগুলোতে পোশাক বানানোর ধুম দেখেই বোঝা যাচ্ছে ঈদের আমেজ। বিরক্তিকর ভিড়ের কারণে অনেকেই সেরে ফেলতে চান ঈদের কেনাকাটা। ১৫ রোজা হয়ে গেলেই দর্জিবাড়ি আর কাপড় দেওয়া সম্ভব নয়। তাই যারা গজ কাপড় কিনে জামা বানাতে ইচ্ছুক, তারা আগে থেকেই বেছে নিন পছন্দসই কাপড়। এবার রোজা থেকে শুরু করে ঈদেও আবহাওয়া গরম থাকবে। তাই ঈদে সুতি কাপড়ের চাহিদা অনেক বেশি। ঈদকে সামনে রেখে বাজারে এসেছে নতুন নতুন গজ কাপড়। সুতি কাপড়ে আছে বাহারি নকশার কাজ। সুতির মধ্যে হালকা রঙের জংলি ছাপার গজ কাড়ে রয়েছে ব্লক, এমব্রয়ডারি ও চুমকির ভারী কাজ। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের কাতানের চাহিদা তো রয়েছেই। ভেলভেট কাতান, এন্ডি কাতান, জট কাতান, ফাইর কাতান, চাঁদনী। এবারের ঈদকে জমজমাট করতে পুরো মার্কেট কাপড়ে ভরে গেছে। এছাড়া খাদি, ধুপিয়ানের মতো একরঙা কাপড় আর সিল্ক। জর্জেট, প্রিন্টের জর্জেট, লিলেনও আছে। প্রিন্টের সুতি গজ কাপড়ের দাম পড়বে ৩০০-৮০০ টাকা প্রতি গজ। এমব্রয়ডারি বা হাতের কাজ করা সুতি কাপড়ের গজ ৪০০-৯৫০ টাকা। বিভিন্ন ধরনের কাতান_ যেমন জুট কাতান বা অ্যান্টিক কাতানের দাম ৭৫০-১২০০ টাকা। অন্যসব কাতান ৪৫০-৮৫০ টাকার মধ্যে কিনতে পারবেন। সিল্কের কাপড় প্লেন বা হালকা কাজ করা গজ প্রতি ২০০-৬০০ টাকার মধ্যে। আনস্টিচ থ্রিপিস সুতির হলে ২৫০-৯০০ টাকা। সুতির মধ্যে ব্লক বা বাটিক করা ১০০০-২২০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে। চিনন, জর্জেট বা শিফনের মধ্যে কাজ করা থাকলে তা পাওয়া যাবে ১২০০-৩০০০ টাকার মধ্যে। এ ধরনের কাপড় পাবেন গাউছিয়া, নিউমার্কেট, চাঁদনী চক, মিরপুর, ইসলামপুর, বসুন্ধরা সিটি, সানরাইজ প্লাজা, রাপা প্লাজা প্রভৃতি শপিং মলে।
এবার আসি দর্জিবাড়িতে। দর্জিবাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, এবারের ঈদের ফ্যাশনে কামিজের ঝুল ৩৪ থেকে ৩৮ ইঞ্চির মধ্যে। গলার নকশার ক্ষেত্রে ভিশেপ, চারকোনা, গোল, হাইনেক, বোটনেক সবই চলছে। বাহারি ঘটিহাতা বা ম্যাগিহাতা আর থ্রিকোয়ার্টার হাতা চলছে। আর ফুল স্লিভ ও স্লিভলেস হাতার প্রচলন তো রয়েছেই। আর জামার নিচের দিকে গোল বা চারকোনা শেপ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া হাতার ক্ষেত্রে মসলিন বা নেট কাপড়ের লম্বা হাতার ফ্যাশন এবারের ঈদে। কম কুচি, ধুতি, চুড়িদার সব সালোয়ারই প্রাধান্য পাচ্ছে, সালোয়ারের মুহুরির মাপ হচ্ছে ১০-১২ ইঞ্চি। অনেকে সাধারণ কাটে নিচে চাপা সালোয়ার পরছে। নিউমার্কেট বা গাউছিয়া এলাকায় দর্জিবাড়ির চাহিদার তুলনায় পোশাক সেলাইয়ের দাম কম। সালোয়ার-কামিজ বানাতে খরচ ১৫০ টাকা। শুধু সালোয়ার ৭০ টাকা এবং কামিজ বানাতে খরচ পড়বে ১০০ টাকা। তবে গুলশান, বনানী, বারিধারায় খরচ পড়বে ২৫০-৩৫০ টাকা। শুধু সালোয়ার ১০০ টাকা এবং শুধু কামিজ ১৫০-২০০ টাকা। ১৫ রোজার পর শেষ হয়ে যাবে ফরমায়েশ নেওয়া। তাই আজই দর্জিবাড়ি গিয়ে এসব ঝামেলা শেষ করুন। ছেলেদের পোশাকের ক্ষেত্রে শার্ট ২০০, প্যান্ট ৩০০, স্যুট ৩০০০ টাকা, প্রিন্স স্যুট ২৫৫০, ব্লেজার ২৫০০, পায়জামা ১৫০-৩০০ টাকা।
দর্জিবাড়ির ঠিকানা
চাঁদনিচক, গাউসিয়া, নিউমার্কেট ও গাউসুল আজম মার্কেটে মেয়েদের বেশিরভাগ টেইলার্স। এছাড়াও লালমাটিয়া, গুলশান, উত্তরা, ধানমণ্ডিতে রয়েছে পোশাক বানানোর আধুনিক টেইলার্স। ছেলেদের ক্ষেত্রে স্টার টেইলার্স, ফিট এলিগেন্স, দ্যা রেমন্ড শপ, আইকনস টেইলর অ্যান্ড ফেব্রিকস, আইডিয়াল টেইলর অ্যান্ড ফেব্রিকস, আজিজস টেইলর্স অ্যান্ড ফেব্রিকস, এগুলোর শাখা বিভিন্ন জায়গায়। বসুন্ধরা শপিংমল, রমনা ভবন, সোনারগাঁও রোড, উত্তরা, ধানমণ্ডি আনাম র্যাংগস প্লাজা, মগবাজার বিশাল সেন্টার, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ, গুলশানের ইউনিকর্ন প্লাজা।
No comments:
Post a Comment